এবিএনএ : ভারতের বিরুদ্ধে রবিবারই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এদিন কাশ্মির ইস্যুতে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ করার কথাও বলেন তিনি। এবার আর্টিকল ৩৭০ তুলে নেয়ার প্রস্তাব দেয়ার পর ফের ভারতের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিল পাকিস্তান। সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। সোমবার কাশ্মীরের স্পেশাল স্টেটাস অর্থাৎ ৩৭০ এ আর্টিকল তুলে নেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ এরপর থেকে কাশ্মীরিরা আর স্পেশাল স্টেটাস পাবেন না। আর এই পরিস্থিতিতে কড়া প্রতিক্রিয়া এলো পাকিস্তান থেকে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দুনিয়া নিউজে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দেশটির বিদেশমন্ত্রী। তার মতে, ভারতের এই সিদ্ধান্তের ফলে সমস্যার সমাধান তো হবেই না, উল্টো সমস্যা আগের থেকে আরও বেড়ে যাবে। ভারত আরও একবার কাশ্মীর ইস্যুতে জ্বালিয়ে দিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তার দাবি, পাকিস্তানের ইচ্ছা ছিল কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হোক। কিন্তু ভারতের তেমন কোনও ইচ্ছা নেই। কুরেশি আরও বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি বিপজ্জনক খেলা খেলছেন। উনার উদ্দেশ্য ভয়ঙ্কর।’ এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেছেন, ভারতে কাশ্মীর ৩৭০ আর্টিকল তুলে নেয়া হয়েছে, এটা অন্যায়। এই সিদ্ধান্ত কাশ্মীরের মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে।
সোমবার রাজ্যসভায় আর্টিকল ৩৭০ তুলে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহের এই প্রস্তাবে উত্তাল রাজ্যসভা। কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্টেটাস’, আর্টিকল ৩৭০ তুলে নেয়া হতে পারে, রাজ্যসভায় এই প্রস্তাবই দিয়েছেন অমিত শাহ। রবিবার থেকেই এই বিষয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। এরপর মধ্যরাতে ওমর আব্দুল্লাদের গৃহবন্দি করার পর সেই জল্পনা আরও জোরালো হয়। এই স্ট্যাটাস তুলে নেয়া ছাড়াও আরও ঘোষণা করা হয়েছে যে কাশ্মীর ভেঙে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল তৈরি করা হবে। একটি জম্মু ও কাশ্মীর এবং আরেকটি লাদাখ।
রবিবার মধ্যরাতে হঠাৎ করেই গৃহবন্দি করা হলো দুবারের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাকে। শুধু তাই নয়, গৃহবন্দি হলেন প্রাক্তন বিধায়ক সাজ্জাদ লোনও। গ্রেফতার সিপিএম নেতা ইউসুফ তারিগামী এবং কংগ্রেস নেতা উসমান মজিদ। হঠাৎ করে কেন এমন সিদ্ধান্ত সরকারের তা নিয়ে আরও জল্পনা-আতঙ্ক তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার করা হয় ধারাটি।